ফিলিস্তিনের মরুভূমিতে বাস করেন সালামাহ আলি। তিন একজন মরু রাখাল। মরুর বুকে ছাগল চড়িয়ে বেড়ান। আর এই ছাগল চড়াতে চড়াতে রেডিওতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত শুনতেন।
কয়েক বছর যাবৎ এভাবে রেডিও শুনে শুনে পবিত্র কোরআনের হেফজ সম্পন্ন করেছেন সালামাহ। বয়স ৬০ পেরোলেও অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে পবিত্র কোরআন আত্মস্থ করেছেন তিনি। সে ঘটনা জানুন তার নিজের বর্ণনায়।
আলহাজ সালামাহ বলেন, ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় পবিত্র কোরআন হেফজ শুরু করার চার বছর পর তা সমাপ্ত হয়। কারণ আমাদের এলাকায় কোনো হাফেজ কিংবা হেফজখানা নেই। হেফজের সময় পেছনের পাঠ পুনরায় পড়া খুবই জরুরি। নতুবা পঠিত সবকিছু ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এক্ষেত্রে রেডিওতে কোরআন শোনার ব্যবস্থা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করে।
রেডিওতে কোরআন তেলাওয়াতের সময় সম্পর্কে আমি জানতাম। তখন আমিও তাদের সঙ্গে শুনে শুনে কোরআন পাঠ করতাম। এভাবে তা শুনতে শুনতে আমার বিশুদ্ধ কোরআন তেলাওয়াত শেখা হয়ে যায়।
তার ভাষায়, আমি মূলত নিজের ছাগল চড়ানোর সময় রেডিওতে কোরআন তেলাওয়াত শুনতাম। এভাবে আমি তাজবিদের সব রীতি-নীতি আয়ত্ত করি। ফলে অত্যন্ত বিশুদ্ধ ও সুন্দরভাবে কোরআন পড়া শিখে ফেলি।
তিনি আরও বলেন, অধ্যয়নের প্রতি নিজের প্রবল আগ্রহ কোরআন হেফজের ক্ষেত্রে আমাকে সহায়তা করেছে। ছাগল চরানোর সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে ভিন্ন এক জগতে চলে যাই আমি। আমার এখন ষাট বছর। কিন্তু আমি এখনও পবিত্র কোরআন বার বার পড়তে থাকি।
সালামাহ বলেন, আমি মরুভূমিতে বাস করি, যেখানে কোনো হেফজখানা বা হাফেজ বলতে কিছুই নেই। তদুপরি কোরআন হেফজের ক্ষেত্রে ‘নিঃসঙ্গতা ও অফুরন্ত অবসর সময়’ আমাকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে। সর্বোপরি মহান আল্লাহর সার্বিক সহায়তা তো আছেই। সূত্র : ডেইলি সাবাহ
পাঠকের মতামত